My Expat Blog
  • প্রথম পাতা
  • রাজনীতি
  • সমাজ চিন্তা
  • অন্যান্য
  • সমসাময়িক বিষয়
  • সন্ত্রাস
  • আমার সম্পর্কে
No Result
View All Result
  • প্রথম পাতা
  • রাজনীতি
  • সমাজ চিন্তা
  • অন্যান্য
  • সমসাময়িক বিষয়
  • সন্ত্রাস
  • আমার সম্পর্কে
No Result
View All Result
My Expat Blog
No Result
View All Result

আওয়ামীলীগ সরকারের প্রশ্র‍য়ে পিকে হালদারের ডিজিটাল চোর হয়ে ওঠা

Khondakar Muhammad Nasir Sarwar by Khondakar Muhammad Nasir Sarwar
February 6, 2022
in ব্যাক্তিগত কথন, রাজনীতি, সন্ত্রাস
0
আওয়ামীলীগ সরকারের প্রশ্র‍য়ে পিকে হালদারের ডিজিটাল চোর হয়ে ওঠা
0
SHARES
33
VIEWS
Share on FacebookShare on Twitter

এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে পিকে হালদারের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি নানা কৌশলে নামে-বেনামে অসংখ্য কোম্পানি খুলে শেয়ারবাজার থেকে বিপুল পরিমাণ শেয়ার কেনেন এবং ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে ও পরে নিজের আত্মীয়, বন্ধু ও সাবেক সহকর্মীসহ বিভিন্ন ব্যক্তিকে পর্ষদে বসিয়ে অন্তত চারটি ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণ নেন। চারটি প্রতিষ্ঠান দখলে নিলেও কোনো প্রতিষ্ঠানেই পি কে হালদারের নিজের নামে শেয়ার নেই।

এই চার কোম্পানি হলো- ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস (আইএলএফএসএল), পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস, এফএএস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড এবং বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স কোম্পানি (বিআইএফসি)।

নানা কৌশল করে এসব প্রতিষ্ঠান দখল করেছেন পি কে হালদার। প্রতিষ্ঠানগুলো দখলের সময় পি কে হালদার প্রথমে রিলায়েন্স ফাইন্যান্স এবং পরে এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ছিলেন। আর এসব কাজে তাকে সব ধরনের সমর্থন ও সহায়তা দিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের একাধিক কর্মকর্তা। মূলত বাংলাদেশ ব্যাংক ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন—এই দুই নিয়ন্ত্রক সংস্থার চোখের সামনেই সবকিছু ঘটেছে।এছাড়াও এসব প্রতিষ্ঠান দখল করার জন্য তিনি নামে-বেনামে অসংখ্য কোম্পানি খুলেছেন, শেয়ারবাজার থেকে বিপুল পরিমাণ শেয়ার কিনেছেন, দখল করা আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণের নামে টাকাও সরিয়েছেন। এমনকি দেশের বাইরেও কোম্পানি খুলেছেন।

পিকে হালদার তার নিজের, আত্মীয়দের, বন্ধু ও কর্মচারীদের নাম ব্যবহার করে আটটি কোম্পানিতে ৬৭ কোটি ৩৫ লাখ ৪৪ হাজার ১৯৯ টাকা বিনিয়োগ করেছেন, যার ‘বৈধ কোনো উৎস’ অনুসন্ধানে মেলেনি। প্রশান্ত কুমার হালদার বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান দখল ও অর্থ আত্মসাৎ করেছেন নিয়ন্ত্রক সংস্থার চোখের সামনে। আবার অনেক ক্ষেত্রে সরাসরি সমর্থনও পেয়েছেন।

কিন্ত অপরাধী একদিন না একদিন ধরা পরেই যায়। সেভাবেই এত দিন ধরে বহাল তবিয়তে থাকলেও পি কে হালদারের নাম সামনে আসে ক্যাসিনোবিরোধী সাম্প্রতিক শুদ্ধি অভিযানের সময়। এ সময় দুদক যে ৪৩ জনের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে, তাদের মধ্যে পি কে হালদার একজন। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গত ১৪ নভেম্বর হাজির হতে নির্দেশ দিয়েছিল দুদক। তার আগে ৩ অক্টোবর তার বিদেশযাত্রায়ও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি ঠিকই দেশ থেকে পালিয়ে গেছেন। বেশির ভাগ অর্থও সরিয়ে ফেলা হয়েছে। এগুলো সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সাহায্য বা ইশারা ছাড়া কোনভাবেই সম্ভব না।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, পি কে হালদার ও তার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবে জমা হয় প্রায় ১ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে তিনটি প্রতিষ্ঠানের হিসেবে ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা, পি কে হালদারের হিসাবে ২৪০ কোটি টাকা এবং তার মা লীলাবতী হালদারের হিসাবে জমা হয় ১৬০ কোটি টাকা। অন্যদিকে পি কে হালদার এক ইন্টারন্যাশনাল লিজিং থেকেই ২ হাজার কোটি টাকার বেশি অর্থ বের করে নিয়েছেন। এসব টাকা দিয়েই পরবর্তীতে বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মালিকানা কেনা হয়। তবে ঋণ নেওয়া পুরো টাকার হদিস মেলেনি। নিয়ন্ত্রণ নেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর পর্ষদে বসেছেন পি কে হালদারের একসময়ের সহকর্মী ও আত্মীয়রা। আর মালিকানা পরিবর্তনে সব ধরনের প্রাতিষ্ঠানিক সমর্থন দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের লাইসেন্সপ্রাপ্ত ইন্টারনেট গেটওয়ে প্রতিষ্ঠান (আইজিডব্লিউ) ফার্স্ট কমিউনিকেশনের পরিচালক পি কে হালদার। প্রতিষ্ঠানটির ফার্স্ট সিকিউরিটি ব্যাংকের হিসাবে বিভিন্ন সময় জমা হয় ৮২৩ কোটি টাকা। পি কে হালদার এমডি থাকাকালে রিলায়েন্স ফাইন্যান্স প্রতিষ্ঠানটিকে ঋণ দিয়েছিল, যার বর্তমান স্থিতি ৪৩ কোটি টাকা।

একজন ব্যক্তি একই সাথে চারটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণ নিল অথচ বাংলাদেশ ব্যাংকের তদারকি বলে কি কিছুই ছিল না। আসলে সবকিছু জেনেও জেগে জেগে ঘুমিয়েছে তারা। আর্থিক অপরাধের বিচার না হওয়ায় সবাই অনিয়মে উদ্বুদ্ধ হচ্ছে। সংক্রামক ব্যাধির মতো ছড়িয়ে পড়ছে।

৩৫০০ কোটি টাকা নিয়ে চম্পট দেওয়া পিকে হালদারকে গ্রেফতারে ইতিমধ্যে ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড নোটিশ জারি করা হয়েছে।

 

Previous Post

মুক্তিযুদ্ধ চেতনার অপব্যবহার করছে সরকার

Next Post

বাড়ছে কিশোর অপরাধী এই দায় কার?

Next Post
বাড়ছে কিশোর অপরাধী এই দায় কার?

বাড়ছে কিশোর অপরাধী এই দায় কার?

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

No Result
View All Result

Recent Posts

  • দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের বাইরে, বেড়েছে তেলের দাম
  • শেখ মুজিব-শেখ হাসিনাঃ পয়সার এপিঠ-ওপিঠ
  • গণতন্ত্রকে বাদ দিয়ে কিসের উন্নয়ন? 
  • বাড়ছে কিশোর অপরাধী এই দায় কার?
  • আওয়ামীলীগ সরকারের প্রশ্র‍য়ে পিকে হালদারের ডিজিটাল চোর হয়ে ওঠা

Recent Comments

  • Abdul Malek on বাংলাদেশের প্রিন্স জয়: না জানা কিছু তথ্য
  • Mutaleb on বাংলাদেশের প্রিন্স জয়: না জানা কিছু তথ্য
  • Ikrakum on বাংলাদেশের প্রিন্স জয়: না জানা কিছু তথ্য
  • Dip on এত ভ্রমণের খরচ সজীব ওয়াজেদ জয় কিভাবে নির্বাহ করেন?
  • Rahim on এত ভ্রমণের খরচ সজীব ওয়াজেদ জয় কিভাবে নির্বাহ করেন?
  • প্রথম পাতা
  • রাজনীতি
  • সমাজ চিন্তা
  • অন্যান্য
  • সমসাময়িক বিষয়
  • সন্ত্রাস
  • আমার সম্পর্কে

© ২০১৮-২০২২ খন্দকার মুহাম্মদ নাসির সারোয়ার - সর্ব সত্ত্ব সংরক্ষিত।

No Result
View All Result
  • প্রথম পাতা
  • রাজনীতি
  • সমাজ চিন্তা
  • অন্যান্য
  • সমসাময়িক বিষয়
  • সন্ত্রাস
  • আমার সম্পর্কে

© ২০১৮-২০২২ খন্দকার মুহাম্মদ নাসির সারোয়ার - সর্ব সত্ত্ব সংরক্ষিত।