প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব আশরাফুল আলম খোকনের মারফত জানা গেলো যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পূত্র সজীব ওয়াজেদ জয় নাকি তথ্য প্রযুক্তি উপদেষ্টা হিসেবে ১ কোটি ৭০ লক্ষ মাসিক ভাতা নেন না।যদিও তার এই এক কোটি ৭০ লক্ষ টাকার নেবার ঘটনাটি পুরো বাংলাদেশের মানুষ জানেন পত্র-পত্রিকা মারফত।
কেন তিনি এই তথ্য হঠাৎ করে দিলেন কিংবা কি-ই বা তার আসল রহস্য সেটি অবশ্য জানা যায় নি। এর মধ্যে কয়েকটি তথ্য আপনাদের জেনে রাখা ভালো যে এই আশরাফুল আলম খোকন প্রধান মন্ত্রীর ডেপুটি প্রেস সচিব হয়েছেন সজীব ওয়াজেদ জয়ের সূত্রে। গত ১/১১ কালীন সময়ে সজীব ওয়াজেদ জয়ের জীবন যাপন ও তার ব্যাপারে বিভিন্ন বিষয় জানিয়ে একটি টিভি সাক্ষাৎকার নেন এই আশরাফুল আলম খোকন সাহেব। খোকন সে সময় চ্যানেল আই এর আমেরিকা করাস্পন্ডেন্ট হিসেবে চাকুরীরত ছিলো। বাংলাদেশের সে সময়কার প্রেক্ষাপটে জয়ের এই সাক্ষাৎকার ছিলো সাহসের কাজ তাতে সন্দেহ নেই। আর এই সাহসী কাজের পুরষ্কার হিসেবেই খোকন চাকুরী পেয়েছে প্রধানমন্ত্রীর উপ প্রেস সচিব হিসেবে।
প্রধান মন্ত্রীর উপ প্রেস সচিব হিসেবে একজন বি সি এস ক্যাডার আসবে এমনটাই ছিলো আইন ও নিয়ম। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর ছেলের প্রভাব খাটিয়ে, অবৈধ ক্ষমতা প্রদর্শন করে এই নিয়োগ জয়ের আরেকটি দূর্নীতির প্রমাণ। স্বজন প্রীতি ও নিয়মবহির্ভূত ভাবে এই নিয়োগের ফলে একজন সত্যকারের বি সি এস ক্যাডারের একটি স্থান কিন্তু এখানে নষ্ট হয়েছে। সবচাইতে বড় ব্যাপারটি দাঁড়াচ্ছে যে সজীব ওয়াজেদ জয় ঠিক কোন ক্ষমতাবলে সরকারের একটি পদে নিয়োগ দিলেন? কোন আইনের বলে?
উপরের প্রশ্নের সঠিক জবাব হচ্ছে কোন আইনের বলেই নয় বরং অবৈধ প্রভাব প্রতিপত্তি খাটিয়ে জয় এসব কাজ করেছে। প্রধানমন্ত্রীর ছেলে বলে ধরাকে সরা জ্ঞান করা এবং প্রভাব খাটানোই এই আমেরিকান বাংলাদেশী সন্ত্রাসীটার মূল কাজ। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন যে খোকন কে চাকুরী পাইয়ে দিতে হয়ত জয় নিজেও কমিশন খেয়েছে। এই ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে জানা যায় যে জয় খোকনের কাছ থেকে কোনো কমিশন নয় বরং খোকন কে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে ইনফিল্ট্রেট করে এক ধরনের নিয়োগ বাণিজ্য খুলে বসেছে যেখান থেকে প্রতি মাসে জয়ের অবৈধ আয় গিয়ে দাঁড়ায় প্রায় ১৫ কোটি টাকা।
এই যে খোকনকে জয় তার মায়ের দপ্তরে ডেপুটি প্রেস সচিব হিসেবে ঢুকিয়েছে খোকন লোকটা তাহলে কেমন? আসুন আমরা জয়ের এই নিয়োগ বাণিজ্যের দ্বিতীয় হোতা খোকন সম্পর্কে তাহলে একটু জেনে নেই। অনলাইনে সন্ত্রাসী ও সাইবার ক্রাইম করে এমন একটি গ্রুপের নাম হচ্ছে সিপি গ্যাং। এই সিপি গ্যাং অনলাইনে মানুষের ক্রেডিট কার্ড চুরি, জালিয়াতি, অর্থ আত্নসাৎ, হুমকি সহ নানাবিধ অপরাধ কার্যক্রমের সাথে নানাভাবে সক্রিয় রয়েছে। আর এই সিপি গ্যাং এর মূল হোতাই হচ্ছে প্রধান মন্ত্রী পূত্র জয়ের আস্থাভাজন আশরাফুল ইসলাম খোকন সাহেব। আওয়ামীলীগের বিরুদ্ধে কেউ কিছু বললেই যাতে সবাই সেই ব্যাক্তির উপরে ঝাঁপিয়ে পড়তে পারে, সবাই মিলে সেই ব্যাক্তির মা বাবা, ভাই কিংবা বোন এদের নিয়ে অনলাইনে নোংরামি করে বেড়ায় এই ধরনের কাজের মূল হোতাই হচ্ছে সিপি গ্যাং। এই সিপি গ্যাং কে খোকনই পেলে পুষে বড় করেছে এবং তার উপরে ছায়া হয়ে ছিলো সজীব ওয়াজেদ জয়।
সজীব ওয়াজেদ জয় গণ জাগরন মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকারকে তার প্রতিদ্বন্দী মনে করে রাজনীতিতে। এই প্রতিদ্বন্দী মনে করবার ফলে সে চায় ইমরান এইচ সরকারকে তার জনপ্রিয়তার স্থান থেকে চ্যুত করতে এবং ইমরান সাহেবের নামে বিভিন্ন ধরনের মিথ্যে কালিমা লেপন করতে। সে কারনেই সজীব ওয়াজেদ জয় তার চামচা খোকন কে দিয়ে সিপি গ্যাং নামের এই গালিবাজ সন্ত্রাসী দলটি গঠন করেছে এবং এই দলের লোকেরা সারাদিন রাত সজীব ওয়াজেদ জয়ের পক্ষে প্রচারণা চালায় এবং ইমরানহ এইচ সরকারের বিরুদ্ধে কাজ করে।
শালা খানকির পোলা, তোরে যেখানেই পাই একদম মাটির নিচে পুতে ফেলবো
তোরে জ্যান্ত কবর দিব
তোরা হলি বেইমান। তোদের জুতা মেরে দেশ থেকে বের করে দেয়া উচিত
মশকরা করার আর জায়গা পাশ নাই? এসব মিথ্যা কথা বলে কি লাভ? সাহস থাকলে আমাদের সামনে এসে কিছু বলে দেখা।
কাকে নিয়ে কথা বলছিস জানিস? জয় ভাই হলেন আমাদের জাতীর জনক বঙ্গবন্ধুর নাতি। মুখ সামলে কথা বলবি নাহলে এক টান মেরে জিহ্বা ছিঁড়ে ফেলবো, যে হাত দিয়ে লিখছিস সে হাতটাই কেটে ফেলবো।
মাদারচোদ, তোরে কেটে টুকরা টুকরা কইরা ফেলামু।
বেইমানের বাচ্চা
তোরে মেরে রাস্তার পাশে ফেলে রাখব। কুত্তা আর কাউয়া তোরে ছিঁড়েখুঁড়ে খাবে
বিএনপির সমর্থক সব কয়টা দেশদ্রোহী
তুই জয় ভাইকে নিয়ে এসব আজেবাজে কথা লেখার সাহস পাইলি কেমনে ? তোরে পাইলেই শেষ কইরা ফালামু।
আমি জানিনা তোদের সমস্যা কি, এখনও সময় আছে, এসব লেখালেখি বন্ধ কর, নাহলে কিন্তু কঠিন শাস্তি অপেক্ষা করছে।
তোরে দেখা মাত্র গুম করমু। দিন গোনা শুরু করে দে।