দিন দিন আরও বেপরোয়া হয়ে উঠছে আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্রলীগ। বিতর্ক যেন কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না। একশ্রেণীর নেতাকর্মীর চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, অপহরণ, ধর্ষণ, প্রশ্নফাঁসসহ নানা কার্যকলাপের কারণে নিয়মিতই আলোচনায় থাকছে ছাত্রলীগ। জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা না নেয়ায় এ ধরনের ঘটনার পুুনরাবৃত্তি হচ্ছে।
সম্পদ উপার্জনে অধিক মনোযোগী হওয়াই ছাত্রলীগের বেপরোয়া ও নিয়ন্ত্রণহীন হওয়ার মূল কারণ। অর্থবিত্ত অর্জনের লক্ষ্য থেকেই বিভিন্ন সময় তারা বিভিন্নভাবে ব্যবহৃত হয়েছে। পাশাপাশি ক্যাম্পাসে বিরোধী সংগঠনের নিষ্ক্রিয়তা বা কার্যকর অবস্থান না থাকায় ছাত্রলীগের নেতিবাচক কর্মকাণ্ড বাড়ছে।
ছাত্রলীগের কর্মকাণ্ড’ লিখে গুগলে সন্ধান করলে কয়েক হাজার শিরোনাম ও ছবি আসে। হত্যার শিরোনাম আছে। রামদা-চাপাতি-কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত করার শিরোনাম আছে। হাতুড়ি-রড-লাঠি দিয়ে পেটানোর শিরোনাম আছে। স্কুলছাত্রদের পেটানো হেলমেট বাহিনীর শিরোনাম আছে। ছয় তলার ছাদ থেকে প্রতিপক্ষকে ফেলে দেওয়ার শিরোনাম আছে। শিরোনাম আছে চলন্ত ট্রেন থেকে প্রতিপক্ষকে ফেলে দিয়ে হত্যার। অধ্যক্ষকে লাথি দিয়ে কলেজ থেকে বের করে দেওয়ার, অধ্যক্ষকে পুকুরে ফেলে দেওয়ার শিরোনাম আছে। শিক্ষকের বুকে ধাক্কা দেওয়ার, শার্টের পকেট ছিঁড়ে ফেলার, প্রতিবাদী শিক্ষকদের ওপর হামলা করার শিরোনাম আছে। ছাত্রী নিপীড়ন, ধর্ষণের শিরোনাম আছে। চাপাতি-রামদা-পিস্তল হাতে প্রতিপক্ষকে হামলার ছবি আছে।
২০১৬ সালের শেষের দিকে এবং ২০১৭ সালের শুরুর দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮টি হলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক মনোনয়ন নিয়ে বিভিন্ন সময় ২০টির মতো সংঘর্ষে জড়ায় ছাত্রলীগ। এছাড়া ২০১৮ সালের শুরুর দিকে এবং ২০১৭ সালের শেষদিকে ছাত্রলীগের হাতে একাধিক সাংবাদিক লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। এমনকি ২০১৭ সালেই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে, যার নেপথ্যে ৫১ কোটি টাকার টেন্ডার ছিল। ২০১৮ সালের ৮ নভেম্বর গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলা ছাত্রলীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মাহিম আহাম্মেদের বিরুদ্ধে জয়দেবপুর থানায় ধর্ষণের মামলা দায়ের হয়।
গত বছরের ১০ সেপ্টেম্বর টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার আটিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি মো. সেলিমের বিরুদ্ধে টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণের অভিযোগ দায়ের করেন এক নারী। ৬ সেপ্টেম্বর রংপুরে একজন প্রভাবশালী ছাত্রনেতার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন এক শিক্ষিকা। ৪ সেপ্টেম্বর ভোলার মনপুরা থানায় মনপুরা সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রাকিব হাসানের বিরুদ্ধে একটি ধর্ষণের মামলা দায়ের হয়।
৩ সেপ্টেম্বর ভোলা সদর মডেল থানায় ভেদুরিয়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি মামুন হাওলাদারের বিরুদ্ধে একটি ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন এক তরুণী।
গত ২০ আগস্ট এক স্কুলছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দীর্ঘ চার বছর ধরে ধর্ষণের অভিযোগে সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শেখ মেহেদী হাসান নাইচের বিরুদ্ধে কলারোয়া থানায় একটি মামলা দায়ের হয়। এর আগে গত ১২ ফেব্রুয়ারি বরিশালের বিমানবন্দর থানায় জেলা ছাত্রলীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক বনি আমিনের বিরুদ্ধে নগরীর নথুল্লাবাদ এলাকা থেকে এক কলেজছাত্রীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়।
গত ৬ জানুয়ারি সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) পরিচয়ে ফেসবুকের মাধ্যমে সম্পর্ক গড়ে বিয়ের নাটক সাজিয়ে এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আকিবুল ইসলাম আকিবের বিরুদ্ধে বাকলিয়া থানায় মামলা হয়।
গত বছরের ৮ অক্টোবর নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা শরিফুর রহমান পারভেজের বিরুদ্ধে স্থানীয় যুব মহিলা লীগের এক নেত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের হয়। ওই বছরের ২৯ আগস্ট পাবনা সদর উপজেলার চরতারাপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নিরব হোসাইনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তোলে অন্তঃসত্ত্বা এক স্কুলছাত্রী। ১৮ আগস্ট মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার দরগ্রাম ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয় এক কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে। এমনকি নিজ সংগঠনের নেত্রীদেরও ধর্ষণের অভিযোগ আছে ছাত্রলীগের নেতাদের বিরুদ্ধে।
একসময়ের জাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জসিমউদ্দিন মানিক ছিল আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। সে ধর্ষণের সেঞ্চুরি উৎসব করে পালন করেছিল। প্রথমদিকে ধর্ষণের অভিযোগ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন স্বীকারই করতে চায়নি। ‘তথ্য নেই’, ‘প্রমাণ নেই’, ‘গুজব’ আখ্যা দিয়ে ধর্ষণের ঘটনা চাপা দেওয়ার মতো কলঙ্কজনক নজির তৈরি করে জাবি প্রশাসন।
সিলেটের এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে স্বামীকে বেঁধে রেখে ছয় জন সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণের ঘটনায় ছাত্রলীগ আবার আলোচনায়। আবারও ছাত্রলীগের সেই বক্তব্য, অভিযুক্তরা আমাদের সংগঠনের কেউ না। তারা শিবির, তারা ছাত্রদল। আমরাও চাই অপরাধীদের বিচার হোক।
ছাত্রলীগের চাঁদাবাজি-ঠিকাদারি, সন্ত্রাস-মাস্তানি, প্রতিপক্ষ সংগঠনের ওপর আক্রমণ-ক্যাম্পাস থেকে বিতাড়ন জাতীয় কর্মকাণ্ডগুলোকে তাদের নেতাকর্মীরা জাস্টিফাই করে অন্যথা বলে বসে তারা সংগঠনের কেউ না। কিন্তু, ধর্ষণের মতো অপরাধ কোনো যুক্তি দিয়ে জাস্টিফাই করা যায় না। দায় এড়ানোর সুযোগ নেই মূল দল আওয়ামী লীগ নেতাদেরও। বিশেষ করে যেসব নেতারা ছাত্রলীগ দেখে রাখার দায়িত্ব পালন করেছেন।
আপনার মত প্রতিবাদী লেখকের লেখা পড়লে সত্যি অনেক ভাল লাগে।
তুই বেশি কোথা বলিস না খানকির ছেলে
প্রাণের সংগঠন ছাত্রলীগ। ছাত্রলীগ নিয়ে মিথ্যাচার একদম সহ্য করা হবে না।
অপেক্ষা কর, দেখিস তোর কি অবস্থা করি!
কুত্তার বাচ্চা
Very nicely said, keep it up >>
কি রে ছাত্রলীগ কি তোরে পুটকি দিয়ে চুদসিল?
খানকির পোলা উলটা পাল্টা কথা কইলে মাইরালামু।
এই রকম বানোয়াট কথা বার্তার জন্য জীবন দিতে হবে তোকে। মিথ্যা অপবাদ।
যুক্তি তোঁর গোয়া দিয়া ভরুম,মাদারছদ দেশদ্রহি,দেশে আয়, তরে কাইটটা বেইচ্চা দিমু।
চুপ শালা রাজাকার । সাহস থাকলে দেশে আয় এর পর দেখমু কি বলতে পারস না পারস।
আন্দাজে ভিত্তি হিন কথা না বলা তোঁর জন্য ভাল হবে।জদি জিবনের মায়া থাকে তোঁর।
আপনাকে দেখে আশার আলো দেখতে পাই। এভাবেই সবসময় নির্ভিকভাবে সত্য বলে যাবেন।
মাদারচদ বিএনপি এর দালালি করস?দেশে আয় দেখতাসি তরে,তর বংশ শুদ্ধা গায়েব কইরা দিমু,তর সব ঠিকানা জানি আমি
শালা রাজাকারের বাচ্চা তোরে আগুন দিয়া জালামু শুয়োরের বাচ্চা।
শালা রাজাকারের বাচ্চা রাজাকার । তোর হাউয়া দিয়া বাঁশ দিমু । তুই দেশে আয় আগে।
খানকি মাগির পোলা তরে আগে কপামু এর পরে আগুন দিয়া জালামু,শুয়ারের বাচ্চা পাইয়া লই তরে
তোর বাপ মা চৌদ্দ গোষ্ঠী জালাইয়া দিমু খাকির পোলা । তোরে খালি দেশে পাইয়া নেই তার পর।
আপনার লেখা পড়ে সত্যি অনেক অনুপ্রেরণা পাই।
তোর ভোট তোর মন চাইলে দিবি না চাইলে না দিবি এত কথা কস কেন ? তোর কাসে কেউ ভোট চাইসে নাকি।
তোঁর পুটকি দিয়া শেদ্ধ ডিম দিলে বুঝবি নিপীড়ন কারে বলে নটীর পুত।
তরা আর জীবনেও চোখ তুইলা তাকাইতে পারবি না।
মাগির পোলা দালালি করস তুই হাউয়ার পোলা ।পুটকি দিয়া বাঁশ দিমু তোর।
সুন্দর করে সত্য কথা বলার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
আরো চল্লিশ বছর আমরা ক্ষমতায় থাক্মু । দেখি তরা কি করতে পারস।
মাগির পোলা জয় ভাইরে নিয়া কিছু লেখবি না। তা না হইলে তোর যে কি হবে তুই নিজেও জানোস না।